বাংলাদেশের আলূ চাষে পোকামাকড় এর প্রভাব।

 বাংলাদেশের আলূ চাষে পোকামাকড় এর প্রভাব।

আলু হল সোলানেসি পরিবারের অর্ন্তগত সোলানাম টিউবারোসাম-এর একটি কন্দ জাতীয় ফসল। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য এবং বর্তমানে ধান এবং ভুট্টার পরই এর অবস্থান। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ আলু উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। 

বাংলাদেশে আলুর উৎপাদন কত :

 ২০২৪-২৫ সালে বাংলাদেশে আলু উৎপাদন ১১০লক্ষ টন । যেখানে ১৯৭২-৭৩ সালে ছিল মাত্র ৭.৫ টন। 

আলু উৎপাদন বাড়ার কারণ:

এই উৎপাদন বাড়ানোর পিছনে যে কারণ তা হলো আবাদের এলাকা, উৎপাদন এবং ফলন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

 উচ্চ ফলনশীল উন্নত জাত, উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কারণে কৃষক পর্যায়ে আলু চাষের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আলু রফতানি :

আলুর উৎপাদন এবং ফলন বাড়ার সাথে সাথে ভোক্তা পর্যায়ে নানাবিধ ব্যবহারও বেড়েছে । সেইসাথে দেশের সামনে আলু রপ্তানির একটা বড় সুযোগও সুষ্টি হয়েছে। বর্তমানে কয়েকটি দেশে সীমিত পরিমান আলু রপ্তানিও হয়ে থাকে।

আলুর উৎপাদন বাড়ানোর উপায় :

১/ চাষ বাড়াতে হবে,

২/ বিশেষত: রাসায়নিক বালাইনাশকের উপুর্যপুরি ব্যবহার কমিয়ে সমন্বিত ব্যবস্থাপণার মাধ্যমে পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই দমন করতে হবে। 

৩/কৃষকের মাঠে অনেক ক্ষেত্রেই আলুর আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায় না। এর  কারনের মধ্যে ক্ষতিকর পোকামাকড় ও রোগবালাই এর আক্রমণ এবং সঠিক পদ্ধতি ও সঠিক সময়ে সেগুলো দমন না করা একটি প্রধান সমস্যা। বিশেষ করে আলুতে রোগ-বালাইয়ের প্রার্দুভাব অনেক বেশি পরিমানে হয়ে থাকে ।

আলূতে বাংলাদেশের কত খতি হয়:

 গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, মোট উৎপাদনের প্রায় শতকরা ২০-২৫ ভাগ ফসল এমনকি সেরূপ ব্যবস্থাপনা গ্রহন না করলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফসলই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

আলুর রোগ বালাই কি কি?

বাংলাদেশে ৪-৫ প্রজাতির পোকামাকড় এবং বেশ কয়েক প্রজাতির রোগবালাই আলুতে আমার থাকে। পোকামাকড় সমূহের মধ্যে সাধারন কাটুই পোকা, জাব পোকা, আলু দি এবং রোগবালাইয়ের মধ্যে নাবি ধ্বসা, আগাম ধ্বসা, পাউডারি মিলডিউ, বড় না, ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট, আলুর পাতা মোড়ানো ভাইরাস বা আলু ভাইরাস একক ত্যৈাদি আলু ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। এরূপ ক্ষতিকর পোকামাকড় ভাবানদের নামের তালিকা, সনাক্তকরন পদ্ধতি, সর্বোপরি তাদের সহজ, খরচ সাশ্রয়ী কালির দাবস্থাপনার উপর পরবর্তীতে আলোকপাত করা হয়েছে।